মোঃ সাইমুন ইসলাম সাইফুল্লাহ কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে তীর ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলা অবস্থিত। দুটি পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়নের ৪৯২.১০২ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২,৩৭,৮৩১ জন। পায়রা সমুদ্র বন্দর,তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র,সাগর-কন্যা কুয়াকাটাসহ গুরুত্বপূর্ণ এই কলাপাড়া উপজেলা।
গত ২০২৩-০২-২০ কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে অন্যায় অনিয়মসহ যেকোন অভিযোগে তিনি সরাসরি সেখানে ছুটে যান, আর সেখানেই সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, রাস্তা দখল করে,সবজির বাজার উচ্ছেদ, মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য গুদামজাত এবং উচ্চ মূল্যে বিক্রয়, চাউল আত্মসাতের অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। প্রতিবছরের চেয়ে এবার তুলনামূলক শীতের চাপ অনেকটা বেশি। শীত নিবারণের জন্য গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে আরামে ঘুমায় মানুষ। এমন কিছু মানুষ আছে যারা গরম কাপড়ের অভাবে কোনো রকম বিভিন্ন পন্থায় রাত কাটায়। এত কষ্টের পরেও পেটের দায়ে পরিবারের দু’বেলা খাবারের যোগানে বের হয়ে যায় কাজের সন্ধানে। আর এসব অসহায় দরিদ্র মানুষের শীত নিবারণের জন্য কম্বল নিয়ে দিন রাত হাজির হচ্ছেন কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তাহার হাত থেকে শীতের একখানা কম্বল পেয়ে অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে হাঁসির ঝলক দেখা যায়। আবার কেউ কম্বল পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন।
তিনি বিভিন্ন সময় গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার জন্য দ্বারপ্রান্তে ছুটে যান। তিনি গভীর রাতে উপজেলার লালুয়া, বালিয়াতলী, ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু সংলগ্ন আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মার্কাযুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রায় প্রতিদিন রাতে শীতার্তদের জন্য কম্বল নিয়ে ছুটে চলেন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কলাপাড়া উপজেলার কোনো মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায় সেজন্য প্রকৃত শীতার্ত মানুষদের খুঁজে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমি সর্বদাই মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবো, কলাপাড়া উপজেলার মানুষের জন্য আমার দরজা সর্বদাই খোলা থাকবে।